সকাল থেকেই আকাশ জুড়ে তীব্র রোদ উঠেছে। এতটাই তীব্র মনে হচ্ছে বাইরে এই রোদের মাঝে মিনিট পনেরো হাটাহাটি করলে কাবাব হয়ে যেতে হবে। আমি অবশ্য চিন্তা নিচ্ছি না। আজকে আমার ছুটির দিন। অন্যদের সাথে আমার ছুটি দিন গুলো মেলে না। এই রোদ মাথায় নিয়ে বেরূতে হবে না এটা ভেবে ভাল লাগছে। জানালা খোলা রয়েছে, সেখান দিয়ে খানিক পর পর মরুভূমির লু হাওয়ার মত হাওয়া আসছে, লু হাওয়া শরীরে মাখবার জিনিস না, বা শান্তি উদ্রেক করে এমনটাও না। তবু্ও জানালা খোলা রেখেছি অন্যরা এই রোদ এর মাঝে নিজের কাজে যাচ্ছে এটা দেখে মনে শান্তি লাগছে। শুধু শরীরের শান্তি দেখলে তো হবে না মনের শান্তিও দেখতে হবে। বেশ মন দিয়ে বাইরের দৃশ্য দেখলাম অনেক্ক্ষণ। একটা সময় বিরক্তি ধরে গেল। জানালা ভিরিয়ে দিয়ে ল্যাপটপ খুলে বসলাম উদ্দেশ্য এলোমেলো ভাবে কিছু দেখে সময় কাটানো। ল্যাপটপে মুভি সিনেমা দেখবার জন্য আমার আলাদা মুড আসা লাগে না হলে ঠিক আর্জ পাইনা। আমি ইউটিউব স্ক্রল করছি হঠাৎ খিল খিল হাসির শব্দ পেলাম। বাশার ভাই আর অনিতা বউদির হাসির আওয়াজ। বাশার হারামজাদা আজকে কি তবে অফিসে যাইনি নাকি, যদি না গিয়ে থাকে তাহলে শিউর বিকেল বেলাটা আমার ঘরে এসে খাজুরে আলাপ করে নষ্ট করবে। বাশার এর বিয়ে হয়েছে তিন বছর। তার স্ত্রী থাকে এলাকায়। বাশার মাসে মাসে বাড়ি যায়। শালার কিঞ্চিৎ আলু পটলের দোষ আছে বলে আমার ধারনা। এখন দু মাস আগে আসা অনিতা বউদির সাথে একটি নিটোল সর্ম্পক গড়ে তুলেছে, এর আগের ভাড়াটিয়া রেবার ভাবির সাথেও তার নিটোল সর্ম্পক গড়ে উঠেছিল। তাকে কিছু বল্লেই বলেন, “আরে ভাই আপনারা দেখছি খুব ন্যারো মাইন্ডের লোক, পাশাপাশি ফ্লাটে থাকলে একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তো হবেই, প্রতিবেশী প্রতিবেশী মিল মহব্বত না হলে চলবে নাকি, আপনারা তো সব ঘরকুনো এন্টি সোশ্যাল। ” এরূপ জবাব যে দেয় তার সাথে তর্ক চলেনা। তাই তার বউদির সাথের মধুর সর্ম্পক নিয়ে তেমন একটা মাথা কেউ ঘামায় না। আজকে শালা অফিস না গিয়ে রাসলীলা জমিয়েছে দেখা যাচ্ছে। রাসলীলা নস্যাত করে দেবার সবচেয়ে ভাল উপায় আমার জানা আছে, অ্যাপ্লাই করব কিনা ভাবছি। যে কোন ধরনের উটকো সর্ম্পক নষ্ট করবার সব চেয়ে ভাল উপায় হল বাসার কাজের বুয়া দের কাজে লাগানো। আমি দেখি আজকে বুয়া কে হালকা করে ব্যাপারটা বলব। বেশি বলতে হবে না। বুয়ারা এই সব ব্যাপারে বয়স্ক সার্জনের মতই এক্সপার্ট। ক বলতে কলিকাতা না, ক বলতে কোরিয়া বুঝে ফেলবে এবং অতি অবশ্যি তা ফ্লাট কমিউনিটির সকল বুয়া থেকে সকল ফ্লাটে ছড়িয়ে দেবে। আজকেই বলব বুয়া কে। বাশার হারামজাদা কে শিক্ষা দেবার প্রোয়জন আছে। গতবার ফ্লাট কমিউনিটির পিকনিক এর কমিটি থেকে বাদ পড়বার পেছনে এই শালা কল কাঠি নেড়েছিল। এবং যে যুক্তি দিয়ে বাদ দেয়া হয়েছিল সেটাও ছিল অবান্তর। আমি অবিবাহিত, তার যুক্তি ছিল অবিবাহিত দের দায়িত্বে সিংহভাগ বিবাহিত দের পিকনিক এর কাজ দেয়া মানে ভস্মে ঘি ঢালা। তখন কিছু বলিনি। তবে প্রতিদান দেবার সময় এসেছে। ওই যে কবিতা আছেনা, ” দিনে দিনে বাড়িতেছে দেনা, শুধিতে হইবে ঋণ।” ঋণ শোধ করবার সময় এসে গেছে। আজকেই বুয়াকে গ্যাটিস দেয়া হবে।
আজকে বাশার মনে হয় খুব ফুরফুরে মেজাজে আছে। নিজেও হাসছে বউদি ও খিল খিল করে হাসছে। বউদি কেও শিক্ষা দেয়া দরকার। থাক বউদির শিক্ষা পরে হবে। এক সাথে বেশি শিক্ষা দিতে গেলে নিজেরও শিক্ষা হয়ে যেতে পারে। তাছাড়া আমিতো শিক্ষক না যে সকল কে শিক্ষা দিয়ে বেড়াব। তাদের হাসি আমার কানে বিষের মত লাগছিল। কানে হেডফোন লাগালাম। এবং গান শুনতে শুনতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছি নিজেও জানি না। ঘুম ভাংলো ডোরবেল এর শব্দে। বুয়া চলে এসেছে দুপুরের রান্নার জন্য। দরজা খুলে দিলাম। কি রান্না করতে হবে তার ইনস্টাকশন দিয়ে আবার শুয়ে পড়লাম। আবার যে ঘুমিয়ে পড়েছি সেটা বুঝতে পারিনি, ঘুম ভাংলো বুয়ার ডাকে, “মামা রান্ধন শেষ, দরজার খিল মাইরা দেন।”
” সব ঠিক ঠাক করেছেন তো”
– হ মামা সব কাম শেষ
– আচ্ছা বুয়া অই ফ্লাট এর বউদির হাজবেন্ড কি বাসায় থাকেই না নাকি, মাঝে মাঝেই দেখি বউদি বাশার ভাই এর সাথে গল্প করে, হাসা হাসি করে, সেদিন দেখলাম বাসার ছাদে বিকেলে এক সাথে বসে আছে।
ছাদের ব্যাপারটা বানানো, সত্যের সাথে খানিকটা মিথ্যা না মেশানি গেলে সত্য তেমনটা জমে না।
– হ মামা আমিও দেখছি বিষয়ডা। খোজ খবর নেওয়ন লাগব।
ব্যাস আমার কাজ শেষ। এই খোজ খবর যে পরবর্তী তে বিরাট আকার নেবে সেটা আমি জানি। এবং অবধারিত ভাবে এক সপ্তাহের মাঝেই বাশার আর বউদির রাসলীলা তে ভাটা পড়বে। বুয়া কে বিদায় করে দিলাম। সে চলে যেতেই আমি গোসলে ঢুকলাম। গোসল সেরে বেরুতেই কানে আসল তীব্র বৃষ্টির শব্দ। জানালা খুলে দিলাম। আকাশ ভেংগে বৃষ্টি নেমেছে, তুমুল বষ্টি, চারপাশ সাদা হয়ে আছে, বেশিদুর দেখা যায়না। মনে মনে আফসোস হল আর একটু আগে বৃষ্টি টা নামলে ছাদে ভেজা যেত। জানালা দিয়ে বৃষ্টির জল দেখতে দেখতেই দুপুরের খাবারটা শেষ করলাম। বেড়ে রেধেছে বুয়া। এই মহিলার হাতের রান্না অসাধারণ। রান্নায় নোবেল টোবেল জাতীয় কিছু থাকলে একে অনায়াসে দিয়ে দেয়া যায়। দুপুরে ভরপেট খাওয়া, সাথে বৃষ্টির কারনে ঠান্ডা আবহাওয়া, একটা ভাতঘুম তাই দেয়াই যায়। বিছানায় গা লাগাতেই ঘুমে ঢলে পড়লাম। ঠিক কতক্ষন ঘুমিয়েছি জানিনা। ডোরবেল বাজছে, বিরক্তি নিয়ে উঠে দরজা খুলতে গেলাম। বাইরে এখনো বৃষ্টি হচ্ছে অবিরাম। দরজা খুলে দেখি সাম্নে বাশার ভাই। মেজাজটাই খিচিয়ে গেল। এই শালার জন্য ঘুমিয়েও শান্তি নেই। বাশার আমি আহবান করবার আগেই আমাকে একরকম ঠেলেই বাসায় ঢুকল।
– কি মিয়া সারাদিন পড়ে পড়ে ঘুমান কেন? নেশা ভাং করেন নাকি।
খুব ইচ্ছা হল বলি ” তোমার মত রাসলীলা তো করতে পারছিনা, তা, যদি নেশা ভাং করি তাতে তোমার সমস্যা কোথায়। কিছু না বলে চুপ করে থাকলাম। বাশার নিজেই আবার কথা বলল।
– ছুটি নাকি আজকে?
– বুঝতেই পারছেন ছুটি। না হলে তো এই সময় বাসায় থাকার কথা না।
– না ঠিক আছে। আমি আজকে রোদ গরম দেখে অফিস যাই নাই। ভাবলাম আপনিও বাসায় একা আমিও একা, একা একা বোর হবার চেয়ে দুজনে আড্ডা দেই।
খুব ইচ্ছে হল বলি ” কেন বউদি কোথায়, আড্ডা তো দিবা উনার সাথে আমার সাথে পিরিত করে লাভ কি” ভদ্রতার খাতিরে বললাম
– ভাল করেছেন এসে, তবে আর একটু পরে এলে ভাল হত। ঘুমটা মাঝ পথে ভেংগে গেল।
– আরে ব্যাচেলার মানুষ এত ঘুমালে চলে নাকি। উঠেই যখন পড়েছেন যান চা বানান, মুড়ি টুড়ি কিছু থাকলে মেখে আনেন, চা মুড়ি ছাড়া বৃষ্টির দিন জমে না।
– ভাই ঘরে চা পাতা নাই।
– নো প্রবলেম, আমার বাসা থেকে চা পাতা আনছি, আপনী ততক্ষণে চা এর পানি বসিয়ে দেন।
এই বলে তিনি বাইরে চলে গেলেন, অগত্যা রাগে গজ গজ করতে করতে চা এর পানি বসালাম, চালাচুর মুড়ি মাখালাম, সাথে বিস্কিট নিলাম পিরিচে। এই করতে করতে পানি ফুটে গেছে উনিও চলে এসেছেন চা পাতা নিয়ে সব কিছু নিয়ে বস্লাম। উনি সোফায় না বসে আমআর রিডিং টেবিল এর চেয়ারে বসলেন। আমি কিছুটা আনইজি ফিল করলাম। টেবিলের উপরেই আমার লেখা লেখির খাতা আছে, সেখানে আজগুবি অনেক কিছুই লেখা আছে। কিছু চমকদার, চটকদার কথাও লেখা আছে, আছে টাটকা একটা কবিতা। এই গুলা আমি আমার গল্প লেখালেখি তে কোটেশন হিসেবে ঢুকিয়ে দেই। মাঝে মাঝে কবিতার লাইন এমন ভাবে ঢুকাই যাতে মনে হবে এই আমি লেখকের কবিতা লেখার হাতটাও বেশ পাকা। বাশার ভাই টুক টাক আলাপ করছে, আমার মনে খচ খচ করছে কখন এই শালা খাতাটা হাতে নেয়। চা শেষ করে বাশার কাপটা রাখলো। এবং তারপর পর ই খাতাটা হাতে নিল। আমি প্রায় এক রকম খিচিয়ে উঠে বল্লাম – ভাই খাতাটা রেখে দেন, খুব পারসোনাল।
-হা হা, হো হো হি হি
-হাসছেন কেন
– আপনার কথা শুনে হাসছি। ব্যাচেলারদের আবার পারসোনাল খাতা। কি উল্টা পাল্টা লিখে রাখছ সেইটা বলেন।
– ভাই আপনি সিনিয়র মানুষ আপনি এই ভাবে কথা বইলেন না। শোনেন আমি টুক টাক লেখা লেখি করি সেগুলো প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত খুব গোপন রাখি। কাউকেই দেখতে দেই না
– এই সব লেখা লেখি করে কোন আয় টায় হয়?
– টাকা পয়সার জন্য আমি একটা চাকরি করি, মনের শান্তির জন্য লেখা লেখি করি
– হা হা হা হো হো, মনের শান্তির জন্য লেখা লেখি, ভালই বলেছেন, এই সব ছাই পাশ এর কোন দাম নায়, চুলার ছাই যেমন কোন কাজে লাগেনা, এই সব লেখা টেখাও কোন কাজে লাগেনা
– চুলার ছাই বাসন মাজার কাজে লাগে, যাদের পৈত্রিক ভিটা বাড়ি গ্রামে তাদের অনেক এই প্রাকৃতিক কাজ সেরে ছাই দিয়ে হাত ধোয়। আপনার ভিটা বাড়ি গ্রামে বলে কথাটা ব্যক্তিগত আক্রমণ হিসেবে নেবেন না আশা করি।
আসলে উনাকে খোচা দেবার জন্যই কথাটা বলা। বাশার ভাই এর মুখ কাল হয়ে গেল। তিনি বল্লেন – আজকাল আর অই দিন নাই। তাছাড়া ভিম বার চলএ আসছে, ছাই কোন কাজেই লাগেনা।
– মাছ কাটার জন্য তো ভিম এ পোষাবে না। ছাই লাগবে।
– আপনার লেখা লেখির ছাই পাশ দিয়ে কোন কাজই কিন্তু হবে না।
– কাজ হবার জন্য আপনাদের মত সব লোক তো আছেই। আমি মানসিক প্রশান্তির জন্যই না হয় লিখলাম।
– হা হা হা, মানসিক প্রশান্তি, ভালই বলেছেন।
– ব্যাপারটা ম্যান টু ম্যান ভ্যারি করে, কেউ লিখে প্রশান্তি পায়, কেউ গান শুনে পায়, কেউ পরকিয়া করে পায়।
এত বড় একটা খোচা স্বভাবতই বাশার ভাই নিতে পারলেন না। তার চোখ মুখ দেখেই বুঝলাম ভিতরে রাগ উঠে গেছে। ভদ্রতার খাতিরে কিছু বলতে পারছেন না। কথা বার্তা আর তেমন জমল না। বাশার ভাই আজকে উঠি বলে চলে গেলেন। আমিও হাফ ছেড়ে বাচলাম। এখন অপেক্ষার পালা। এক সপ্তাহের মাঝে ভাইজান এর রাসলীলা এর ভব লীলা সাংগ হবে। এক সপ্তাহ লাগলো না। চতুর্থ দিনেই একটা প্রমান পেলাম। সেদিন ও বেশ গরম। সন্ধ্যার পরে বাইরে ভাল বাতাস ছিল। জোছনাও উঠেছে বেশ করে। আমি বাসায় না থেকে তাই ছাদে গেছি। ফুর ফুরে হাওয়া তে দেহ মনে প্রশান্তি আনছে। ছাদে অনেক এই আছে কচি থেকে বুড়ো সকল বয়সীরাই আছে। বাশার ভাই কেউ দেখলাম। মহিলারা নিজেরা নিজেরা গল্প করছে, বাচ্চা কাচ্চা রা নিজেরা খেলছে। হঠাৎ করেই ঘটনাটা ঘটল। সিড়ি ভেংগে অনিতা বউদি কে আসতে দেখলাম। তিনি ছাদে ঢুকলেন, এবং একটু এগিয়ে এসে যেই দেখলেন ছাদে বাশার ভাই তিনে ছাদে না থেকে এক রকম ছুটেই আবার ফিরে গেলেন। আমি মনে মনে খুব প্রীত হলাম। বুয়ার উপর খুব খুশি হলাম। বুয়ার কর্ম পদ্ধতি এবং কর্মের গতি যে এতটা ভাল তা আমার ধারনার বাইরে ছিল।
এর দুই দিন পরে ঘটল আর এক ঘটনা। লিফটে করে যাচ্ছি। সাথে আরো দুই ভদ্রলোক। নিজেরা আলাপ করছে, “এই ফ্লাট কমিউনিটির মাঝেও কিছু আজে বাজে লোক এসে ঢুকে পরে।”
– কার কথা বলছেন?
– বলছি এগারো তালার বাশার আর অই হিন্দু বউদির কথা, বাশার নাকি যেই ভাড়াটিয়া আশে তার সাথেই উল্টো পাল্টা সর্ম্পক করার চেষ্টা করে।
আমার ফ্লোর চলে এসেছিল এর বেশি আর তাই শোনা হলনা। তবে বুঝলাম ঘটনা গড়িয়েছে অনেকদূর। এর সপ্তাহ খানেক বাদে বাশার ভাই এর সাথে দেখা, কুশলাদি বিনিময়ের পরে উনি বল্লেন – ভাই বাসা ছেড়ে দিচ্ছি।
আমি খুব অবাক হবার ভান করে বল্লাম – ওমা সে কি, কেন?
– তেমন কিছুই না, অফিস এর পাশে একটা ভাল বাসা পাওয়া গেছে সেখানেই উঠব।
আর তেমন কথা হলোনা উনার সাথে। মনে মনে খুব হাসলাম, অফিসের পাশে বাসা পাইছো তাই না সোনা, ফ্লাট কমিটির নোটিশ খেয়েছ সেটা ভেবছো আমি জানি না। এর পরের গল্পটা খুব সংক্ষিপ্ত । বাশার ভাই বাসা ছেড়ে দিল। এর মাস খানেক বাদে দেখলাম বউদি রাও বাসা ছেড়ে দিল। এই কমিউনিটি তে থাকলে একটা কলংক নিয়ে থাকতে হবে। কে এই সব মাথায় নিয়ে থাকতে চায়। বউদি চলে যাওয়ায় আমার নিজেরো খুব খারাপ লাগলো। আমার খুব ইচ্ছা ছিল বউদি কেউ বাশার এর মত একটা শিক্ষা দেবার। তা আর হল না। আফসোস টা তাই রয়েই গেল।